সম্ভাবনাময় পেশা আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং

সম্ভাবনাময় পেশা আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিংঃ আউটসোর্সিং শব্দটি আমাদের দেশে অনেক বেশি পরিচিত তা নয়, তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আর আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপনের কল্যাণে শব্দটি এখন মানুষের মনে নানা কৌতুহল ও আগ্রহের এর জন্ম দিচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশীদের কাছে অতি পরিচিত শব্দ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে।

আবার কিছু মানুষের কাছে নিন্দিতও হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আজ থেকে দশ বার বছর আগেও আমাদের দেশের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে তেমন পরিচিত ছিল না। তখন যে ফ্রীলান্সিং বা আউটসোর্সিং-এর কাজ হতো না তা কিন্তু নয়, তবে বর্তমান সময়ের মত এত জনপ্রিয়তা ছিল না।

পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বায়নের বর্তমান এই সময়ে তৃতীয বিশ্বের অনুন্নত দেশ গুলোতে আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং অব্যবস্থাপনার কারণে বেকার ও দারিদ্র সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আমাদের দেশও এ পরিস্থিতির শিকার। যার কারণে বেকার যুবকদের সাথে অল্প আয় করা চাকরি জীবী মানুষ জনও জীবনের তাগিদে বিকল্প অন্য আয়ের পথ খুঁজছে।

আমাদের দেশে প্রায়ই শোনা যায় একটি কথা, একদম সহজ উপায়ে অনলাইনে আয়, কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আউটসোর্সিং এর ভিন্নতা টুকু হল, এখানে কাজ করা এবং কাজ পাওয়ার যে একটা স্বাধীনতা আছে; এটা অন্য কোনো পেশায় পাওয়া যাবে না।

এককথায় যদি বলা হয়, আউটসোর্সিং হল সঠিক কাজ করে নির্দিষ্ট উপায় আয় করার একটি অনলাইন মাধ্যম। এখানে সফলতা পেতে চাইলে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং কাজ করার জন্য সঠিক প্লাটফর্মে/জায়গায় আসতে হবে।

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং শব্দের মূল অর্থ হল মুক্ত পেশা বা স্বাধীন পেশা। অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয় করার পেশা।

কিছুটা সহজভাবে বললে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানো কেই আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং বলে। আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ গুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে।

ফ্রিল্যাঞ্চিং এর শাখাসমূহ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট/ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন,  সফটওয়্যার/এপ ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, নেটওয়ার্কিং ও  তথ্য ব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), লেখা অনুবাদ, প্রশাসনিক  সহায়তা, গ্রাহক সেবা,  বিক্রয় ও বিপণন,  ব্যবসা সেবা,  ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি। 

ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে করে দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব। দক্ষতা থাকলেই কেবল ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়।

তাই আউটসোর্সিংকে পেশা হিসেবে নির্ধারণ করার পূর্বে নিজেকে দক্ষভাবে তৈরি করে নিতে হবে।আউটসোর্সিং যেহেতু মুক্ত/স্বাধীন পেশা, তাই সেখানে নিজের জবাবদিহিতার চেয়ে কাজের জবাবদিহিতা বেশি। কাজ যদি ঠিক না হয় এবং কাজে যদি স্বচ্ছতা না থাকে, তাহলে এই সেক্টরে সফল হওয়া অনেক কঠিন/অসম্ভব হয়ে যায়।

আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য অনেক ওয়েবসাইট আছে। কয়েকটি সাইটের ঠিকানা নিচে দেয়া হলঃ

এরকম অসংখ্য  ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আমরা গুগলে সার্চ করে দেখে নিতে পারি।

1 thought on “সম্ভাবনাময় পেশা আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং”

  1. ডিজিটাল স্কিল – পছন্দের ক্যারিয়ারে যেতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। বিশেষ করে প্রতিযোগিতার বর্তমান যুগে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সহজ নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা যত বাড়াতে পারবেন, ততই আপনার কাজের পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে।
    যোগাযোগ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানোর উপর টিপস নিয়ে সাজানো হয়েছে এ সেকশন।

    Reply

Leave a Comment