সময় গতিশীল। সময়ের গতিময়তার সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় সমাজ পরিবর্তিত হয় আমাদের চারপাশ কাজের পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট। আমাদের দেশের কর্মক্ষেত্রেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। আজ বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে, বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এসেছে বৈচিত্র্য।
বাংলাদেশে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্র সমূহ
আজকের দিনে আমাদের দেশের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আমাদের জন্য কি কি ধরনের কাজের সুযোগ আছে, কোন কোন পেশা গ্রহণ করা সম্ভব, তা নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।
জাতীয় পর্যায়ে
বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন রকম চাকরির সুযোগ রয়েছে। সরকারি চাকরি-বেসরকারি চাকরি, বিদেশি ও বহুজাতিক বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। সাথে সাথে রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যবসা করার সুযোগ।
জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে আসলে চাকরির অভাব নেই অধিকাংশ মানুষ যারা চাকরি পায় না তারা আসলে পরিকল্পিত উপায়ে দক্ষতা অর্জন করেনি।
শিক্ষা জীবনের শুরুতেই লক্ষ্য স্থির করে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী জেনে বুঝে নানারকম প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
যারা নিজেদের পেশাগত কাজে খুবই দক্ষ তাদের আসলে চাকরির জন্য আবেদন করতে হয় না বরং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের খুঁজে বের করে দারুন সব সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি দেয়।
ক্যাডার সার্ভিস
বাংলাদেশের সরকারি চাকরির কথা আলোচনা করলে প্রথমে যে চাকরির নাম আসে তা হলো ক্যাডার সার্ভিস। বাংলাদেশ ২৯ টি ক্যাডার রয়েছে। এর প্রত্যেকটি তে চাকরি করার সুযোগ কেবল বাংলাদেশের শিক্ষিত নাগরিক দের।
বাংলাদেশের সরকারি কর্ম কমিশন স্নাতক/ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সের নাগরিকদের মধ্যে হতে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার কর্মকর্তাদের বাছাই করে চাকরির জন্য সুপারিশ করে।
ক্যাডার কর্মকর্তারা দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চাকরি করার পাশাপাশি অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন তাই আমাদের দেশের শিক্ষিত নাগরিকদের প্রথম পছন্দের পেশা।
ব্যাংক ও বীমা
ব্যাংক ও বীমা খাতেও রয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষিত নাগরিকদের চাকরি করার সুযোগ। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের ব্যাংক-বীমা রয়েছে বাংলাদেশে। এটি অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা।
এই পেশাতেও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি ছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মচারী হিসেবে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশের রয়েছে বেশকিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের।
শিক্ষকতা
আজকের শিশুকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযোগী করে গড়ে তোলেন একজন শিক্ষক।দেশকাল জাতিভেদে শিক্ষকের মর্যাদা সবার উপরে। তাই জ্ঞান বিতরণের এই মহান পেশায় আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
পেশা হিসেবে বেছে নিলে একদিকে যেমন পাবে সম্মান মর্যাদা অন্যদিকে সুন্দর অনিশ্চিত জীবনের হাতছানি তো রয়েছেই।
আইন সংক্রান্ত পেশা
সম্মান ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য বর্তমান সময়ে আইন পেশার প্রতি সবার আগ্রহ বাড়ছে। আইন পেশায় এখন নতুন নতুন মাত্রা ও সম্ভাবনা যোগ হচ্ছে।
দেশে আইন সাংবাদিকতা সুযোগ বাড়ছে আগের তুলনায় বেশি, তাই ইদানিং একজন আইনজীবী একেক দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
এর ফলে তাঁরা সহজেই সে বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠছেন এবং দক্ষতা তাদের আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিখ্যাত। পোশাক শিল্পের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রচুর দক্ষ ও শিক্ষিত লোকের প্রয়োজন। দেশের ক্রমবিকাশ মানেই শিল্প সমাজের শিক্ষিত লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তা নয়; অর্ধ শিক্ষিত এবং দেশের পিছিয়ে পড়া অনেক বেকার যুবক-যুবতী তাদের শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে এ শিল্পে।
এছাড়াও রয়েছে নৌযান ও পরিবহন শিল্প, অটো মোবাইল শিল্প , আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের সুযোগ।
সর্বশেষ রয়েছে সম্ভাবনাময় পেশা আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যাঞ্চিং । আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বিস্তারিত একটি ব্লগ আছে চাইলে দেখতে পারেন- ক্যারিয়ার আলোচনা পেজে।