বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২০২১ঃ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মহামারীর কারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রাক নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রেক্ষিতে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা চারটি শিফটে গ্রহণ করা হবে। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত আবেদনকারীদের মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হবে।

বুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২০২১

• আরো দেখুন-গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২০-২০২১

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্র-কৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য/ ও পরিকল্পনা অনুষদ সসূহের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছ থেকে, নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।

যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ২০১৭ বা ২০১৮ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, অথবা ২০১৭ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক যা তার সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে, অথবা ২০১৬ সালের নভেম্বর বা তার পরে GCE “O” লেভেল এবং ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত যারা GCE “A” লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন, অন্যান শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র তাঁরাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ইতোপূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন অথবা অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছেন তারা এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা

ক। প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগে (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ) ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।

প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক/ আলীম/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ে রেজিস্ট্রেশনসহ গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে জিপিএ ৫.০০এবং মাধ্যমিক/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ন্যুনতম ২৭০ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।

খ। যে সব প্রার্থী ২০১৭ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় তাদের সংশোধিত ফলাফল ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ে ৬০০ নম্বরের মধ্যে ন্যুনতম ৪৮০ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক/আলীম/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।

সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে উপরে উল্লেখিত নির্ধারিত নম্বরের ভিত্তিতে বাছাই করে ১ম থেকে ২৪,০০০ তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় তিনটিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর, গণিতে প্রাপ্ত নম্বর এবং পদার্থ বিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

গ। ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীতুক্ত সকল সঠিক আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।

ঘ। উপরোক্ত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের চারটি শিফটে বিভক্ত করে পরীক্ষা নেয়া হবে। পরিসংখ্যানভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি শিফটে প্রার্থীদের মেধার বিন্যাসের সমতুল্যতা নিশ্চিত করা হবে।

প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইট-এ প্রকাশ করা হবে।

ঙ। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে ১ম থেকে ৬০০০তম (প্রতি শিফটের ১ম থেকে ১৫০০ তম) শিক্ষার্থীকে মডিউল এবং মডিউলসহ মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইট -এ প্রকাশ করা হবে।

আসন সংখ্যা

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন মোট ৩টি এবং স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসন সংখ্যা ১২১৫ টি।

আবেদন করার নিয়ম

আবেদন করার নিয়ম ভর্তির নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (buet.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে তা অনলাইনে SUBMIT করতে হবে। SUBMIT করা শেষে একটি APPLICATION Serial No প্রদান করা হবে এবং পরবর্তীতে এর বিপরীতে সোনালী ব্যাংক অনলাইন পোর্টাল, সোনালী ব্যাংক মোবাইল এপ, নগদ, রকেট, বা বিকাশ মোবাইল/ অনলাইন ব্যাঙ্ক এব মাধ্যমে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা বাবদ প্রদেয় ফি জমা দিতে হবে। অতঃপর আবেদনটি চূড়ান্তভাবে দাখিল করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি

২৪ এপ্রিল ২০২১, শনিবার, বিকাল ৩:০০ মিনিটের পর অনলাইনে আবেদনপত্র পুরণ আর শুরু করা যাবে না এবং এদিন বিকাল ৫.৩০ মিনিটে অনলাইনে আবেদনের সার্ভার বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর অনলাইনে আর কোন আবেদনপত্র সাবমিট করা যাবে না। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় “ক” ও “খ” গ্রুপের জন্য মোট ১০০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রশ্নের মানের ২৫% কেটে নেয়া হবে।

OMR Sheet এ শুধুমাত্র কালো কালির বলপয়েন্ট কলমের মাধামে বৃত্ত ভরাট করা যাবে। জেল পেন, ফাডন্টেন পেন অথবা পেন্সিল, রাবার করা যাবে না।

মুল ভর্তি পরীক্ষায় মডিউল এ এবং মডিউল বি এর প্রতিটি বিষয়ের সকল প্রশ্ন ও মুল্যায়ন, প্রচলিত পদ্বতিতে করা হবে। কোন বিষয়ে MCQ থাকবে না।