ক্যারিয়ার গঠন- গুণ ও দক্ষতাঃ ভবিষ্যতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হলে প্রথমেই নিজের ক্যারিয়ার গঠনে যত্নবান হতে হবে।
ভালোভাবে ক্যারিয়ার গঠন করতে হলে বিশেষ কিছু গুণ ও দক্ষতা অর্জন করতে হয়। ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কিছু গুন ও দক্ষতার মধ্যে বিশেষ একটি গুণ হলো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
আজকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করব।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
মানব জীবনের সাফল্যের গুটিকয়েক উপাদানের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি একটি বিশেষ অথচ অদৃশ্য উপাদান। একজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা নির্ভর করে, সে কেমন শিক্ষা পাচ্ছে, কেমন পরিবেশ বা সমাজে বেড়ে উঠছে এবং কোন সংস্কৃতিকে লালন করছে তার উপর।
তাই একই বষয়ে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ভেদে একেক ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হয়। দৃষ্টিভঙ্গির অর্থ হচ্ছে মনোভাব, মানসিকতা বা চিন্তার ধরন। অর্থাৎ একটি বিষয়কে কে কিভাবে দেখছে বা কিভাবে নিচ্ছে সেটাকে বলা যায় তার দৃষ্টিভঙ্গি।
ইংরেজিতে এটিকে অ্যাটিটিউড বলে। এটিটিউড শব্দটি ইতালিয়ান শব্দ এটিটিউড থেকে উৎসারিত। এর অর্থ হচ্ছে চিন্তার ধরণ।সুতরাং বলা যায় দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে মানুষের মনোজাগতিক আদর্শ, যার আলোকে সে যেকোনো বিষয়কে বিচার করে।
কোন বিষয়কে ভালোভাবে নেওয়া বা ঐ বিষয়ের প্রতি ভালো মনোভাব পোষণ করা কিংবা বিষয়টিকে ইতিবাচক মানসিকতা মাধ্যমে গ্রহণ করাই হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব
পারস্পারিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে সমাজের সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সমাজের সকলের মধ্যে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মানুষের ব্যক্তিত্বের মধ্যেই তার স্বকীয়তা বিদ্যমান। যে যত বেশি ব্যক্তিত্ববান সে ততো বেশি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের উপায়
বিভিন্নভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠিত হতে পারে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শিক্ষা মানুষের অন্তর্নিহিত প্রতিভা শক্তিকে জাগ্রত করে।
শিক্ষার সংস্পর্শে এসে মানুষ তার মনন ও চিন্তন দক্ষতা কে শাণিত করতে পারে। এর মাধ্যমে তার চিন্তা করার ধরন ও মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে। ফলে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।
ক্যারিয়ার গঠনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ভূমিকা
ব্যক্তিগত জীবনে বা পেশাগত কারণে মানুষকে নানান ধরনের মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হয়। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করলে মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী করা অনেক সহজ হয়।
সম্পর্ক ভালো থাকলে অনেক সময় অনেক অনাকাংখিত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যা ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাবে কাজে উৎসাহ ও মনোযোগ বাড়ে। যারা এ ধরনের মনোভাব পোষণ করে তারা কোন কাজকে হীন মনে করে না এবং কাজ করার প্রতি তাদের কোনো অবহেলা থাকবেনা। ফলে তারা ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনার সাথে কাজ করতে পারে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করলে যেকোন সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। অনেকে আছে যারা নেতিবাচক মনোভাবের কারণে সমস্যা সমাধানের পথে না গিয়ে সেটিকে আরও জটিল করে তোলে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যারা সমস্যার সমাধান করতে যায় তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে সমস্যাটির সমাধান করা এবং সহজেই তারা তা করতে পারে।
এরকম আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা দেখতে আমাদের ক্যারিয়ার পেজ দেখতে পারেন।