কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা ২০২০-২১ঃ সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ০৭ (সাত) টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে ১ম বর্ষ ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভতিচ্ছুক আবেদনকারীদের নিকট থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র আহবান করা যাচ্ছে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২১

সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বর্তমানে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সর্বমোট আসন রয়েছে ৩৪১৯ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসন সংখ্যা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ১১১৬
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর৩৩০
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা৭০৪
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট৪৩১
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী৪৪৩
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা১৫০
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম২৪৫
সর্বমোট৩৪১৯

সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১

আবেদন করার যোগ্যতাঃ ক) যে সকল ছাত্র/ছাত্রী ২০১৭/২০১৮ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০১৯/২০২০ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহে উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবল মাত্র তারাই আবেদন করতে পারবে।

খ) আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমোট নূন্যতম জিপিএ ৮.০০ (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) থাকতে হবে।

আরো দেখুন- GST/ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২০-২০২১

গ) জিসিই O লেভেল এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে O লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে নূন্যতম জিপিএ ৩.০০ এবং সর্বমোট নূন্যতম জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। উল্লেখ্য যে, O লেভেল এবং A লেভেল এর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে A গ্রেডের জন্য ৫ (পাঁচ), B গ্রেডের জন্য ৪ (চার), C গ্রেডের জন্য ৩.৫ (সাড়ে তিন) এবং D গ্রেডের জন্য ৩ (তিন) পয়েন্ট গণ্য করা হবে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি সংক্রান্ত সময়সয়চি

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ম্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ হয়েছে, তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ আপডেট পাওয়ার সাথে সাথে এখানে সংযোজন করা হবে।

আবেদন গ্রহণ শুরু২ মে, ২০২১
আবেদনের শেষ তারিখ১০ জুন, ২০২১
ভর্তি পরীক্ষা৩১ জুলাই, ২০২১ (সকাল ১১.৩০-১২.৩০)
ফলাফল প্রকাশপরীক্ষার ৩ দিনের মধ্যে
আবেদন ফি১০০০ টাকা

আবেদনের নিয়ম

ক) আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য www.admission-agri.org ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের আবেদন নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পুরণ করতে হবে।

খ) মোবাইল ফোন নাম্বার প্রদানের স্থানে নিজস্ব বা বিশ্বস্ত ফোন নাম্বার হওয়া আবশ্যক। এই নাম্বারে এসএমএস এর মাধ্যমে পিন/লগইন পাসওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি জানানো হবে।

গ) কোটায় আবেদনকারী না হলে কোটার ঘরে “সাধারণ” সিলেক্ট করতে হবে।

আবেদন ফি ১০০০/- (এক হাজার) টাকা মাত্র “রকেট”, “বিকাশ” বা “শিওরক্যাশ”-এর মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক জমা দিতে হবে। তবে কেউ তাৎক্ষণিকভাবে ফি জমা দিতে না পারলে আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যেই উক্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে জমা দিতে হবে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২১

লক্ষণীয় বিষয়ঃ শিক্ষার্থীকে ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করে পেমেন্ট করতে হবে, শিক্ষার্থীর আইডি হিসেবে তার এইচ.এস.সির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।

  • ভর্তির আবেদন ফি বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় সু্যোগ না পেলে ৭০০ টাকা ফেরত পাবে।
  • মোট আসন সংখ্যার ১০ (দশ) গুণ প্রার্থীকে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
  • পরীক্ষার সময় কোন ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন এবং ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ।

ছবি আপলোডঃ আবেদনকারীর পাসপোর্ট আকারের সম্প্রতি তোলা রঙ্গিন ছবির স্ট কপি (৫০ কিলোবাইটের মধ্যে JPG ফরম্যাটে) অনলাইনে আবেদনকালীন অথবা আবেদনের শেষ তারিখের পূর্বে লগইন করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছবি ব্যতীত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে না।

দেখে নিন- ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সার্কুলার ২০২০-২০২১

অপশন/পছন্দক্রম প্রদানঃ আবেদনকারীকে আবেদন কালীন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্খিত বিষয়সমূহের মধ্য থেকে পছন্দক্রম অনুযায়ী বিষয়সমূহ নির্বাচন করতে হবে। পছন্দক্রমে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয় নির্বাচন করা না হলে সে সকল বিষয় আবেদনকারীর জন্য বিবেচিত হবে না। ভর্তি পরীক্ষার পূর্ব দিন পর্যন্ত লগইন করে পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে।

পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণঃ আবেদনকারী যে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র হতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তা পরীক্ষা কেন্দ্রের পছন্দক্রমের ঘরে নির্বাচন করতে হবে। এই পছন্দক্রম এবং এসএসসি-এইচএসসি এর মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারিত হবে। উল্লেখ্য যে, সকল পরীক্ষা কেন্দ্রই পছন্দক্রমে দেখাতে হবে।

পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর

ফলাফল প্রস্তুতিঃ মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের ২৫ নম্বর এবং এইচএসসি/সমমানের ২৫ নম্বর করে ফলাফল এবং মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে।

এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে-১০, প্রাণিবিজ্ঞানে-১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে-১৫, পদার্থে-২০, রসায়নে-২০ এবং গণিতে-২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভূল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সার্কুলার

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তি প্রক্রিয়া/ভর্তি বাতিল

ক) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময়ই মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীগণ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিষয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হবে, তা প্রকাশ করা হবে এবং সে বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি ফি জমা দিয়ে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তির জন্য মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও কোটা ডকুমেন্টস উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েই জমা দিতে হবে৷ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি-র পরিমান ফলাফল প্রকাশের সময ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

খ) ভর্তির পর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন করার পর শূন্য আসনসমূহে অপেক্ষমান তালিকা হতে ভর্তি করা হবে। অটোমাইগ্রেশনের যে কোন পর্যায়ে অটোমাইগ্রেশন বন্ধ করতে চাইলে অনলাইনে লগইন করে আবেদন করতে হবে।

ঘ) সর্বশেষ অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর প্রার্থীগণ যে যে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবে, তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। অটোমাইগ্রেশনের কারণে যে সকল ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন হবে, তাদেরকে নির্ধারিত তারিখে সর্বশেষ প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পূর্বে জমাকৃত ভর্তি-ফির সাথে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য ভর্তি-ফি সমন্বয় করে ভর্তির কার্যক্রম চুড়ান্ত করতে হবে। সর্বশেষ অটোমাইগ্রেশনের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হওয়া ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও অন্যান্য ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ পরস্পরের মধ্যে আদান প্রদান করে নেবেন।

ভর্তি বাতিলঃ ভর্তিকৃত কোন ছাত্র-ছাত্রী তার ট্রান্সক্রিপ্ট এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট ফেরৎ নিতে চাইলে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ডকুমেন্টস রয়েছে, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ভর্তি বাতিলের জন্য আবেদন করতে হবে। উল্লেখ্য যে ভর্তি বাতিল করার জন্য টাকা ১০,০০০/- মাত্র ভর্তি বাতিল ফি জমা দিতে হবে।

Leave a Comment